ভোলা প্রতিনিধি ॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩০৯ টি ঘর। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৯টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৩০টি ঘর। জেলার সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে ২ হাজার গরু-মহিষ নিখোঁজ রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানিয়েছে, ভোলা সদরে বিধ্বস্ত হয়েছে ২৯০টি ঘর। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ৮০টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১০টি ঘরবাড়ি। দৌলতখান উপজেলায় ঘরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৫০টি ঘর। যার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৬০ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ২৯০টি। বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২০টি ঘর। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ২০ এবং আংশিক ২০০টি। লালমোহন উপজেলায় ঝড়ে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১২০টি ঘর। এখানে ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। তজুমদ্দিন উপজেলায় বিধ্বস্ত ৬ হাজার ঘর-বাড়ি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ৩ হাজার এবং আংশিক ৩ হাজার। চরফ্যাশন উপজেলায় ঝড়ের কবলে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৭০টি ঘর। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ৯৯টি এবং আংশিক বিধ্বস্ত ৭১টি। মনপুরা উপজেলায় ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬০টি ঘর। এখানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৩২০টি ঘর এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৪০টি ঘর। ক্ষয়-ক্ষতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তজুমদ্দিন উপজেলা এবং কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লালমোহন উপজেলা। এছাড়া জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন চরে ৮শ গরু এবং ১২শ মহিষ নিখোঁজ রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫১টি ইউনিয়নে গড়ে আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নিখোঁজ গরু-মহিষের মধ্যে কিছু কিছুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে, তার তালিকাও করা হচ্ছে।
Leave a Reply